সেহরি না খেলে রোজা হবে কিনা, ইসলাম কি বলে?
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভালোই আছেন। সামনে রমজান চলে আসছে, এই রমজান মাসে প্রত্যেকেই রোজা রাখে। কিন্তু অনেক সময় সেহরি খাওয়ার সময় পেটে ক্ষুধা থাকে না বা সময় থাকে না যার জন্য অনেকেই না খেয়ে রোজা রাখে।
কিন্তু না খেয়ে রোজা রাখলে কি রোজা আদায় হবে এটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। আপনাদের মনের সকল সংশয় দূর করে দেওয়ার জন্য আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে সেহেরি না খেলে কি রোজা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সেহরি না খেলে রোজা হবে কিনা
সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে, কিন্তু প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনের জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নত। সেহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। তাই সবার উচিৎ সেহরির সময় অল্প কিছু খাওয়া।
হাদিস বলছে সেহরি না খেলে রোজা হবে
আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও! কেননা সেহরিতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন। (বুখারী, হাদিস : ১৯২৩; মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৯৩)
পেট ভরে যে খেতে হবে, এমন কোনো শর্ত নেই। মাছ, দুধ বা খেজুর কিংবা হালকা কিছু খেলেও সেহরি খাওয়া হয়। কেউ যদি সেহরিতে উঠতে না পারে, তাহলে তাকেও রোজা রাখতে হবে। সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব ও বরকত। (বিনায়া শরহে হেদায়া : ৪/১০৩)
সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সেহরি খাই। (মুসলিম, হাদিস: ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস: ৬৪২)
এ ছাড়াও বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া: খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৮৬)
পেটে ক্ষুধা না থাকলে সেহরির সময় দুই-একটি খেজুর খেয়ে নেয়া উত্তম বা অন্য কোনো খাবারও খাওয়া যাবে। (হেদায়া: খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৮৬)
শেষ কথাঃ আশা করি, আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সেহরি খাওয়া নিয়ে সকল সংশয় দূর হয়ে গেছে। পোস্ট সমন্ধে যেকোন মতামত জানাতে পারেন কমেন্টে।