শবে বরাতের ফজিলত ও আমল
হাদিসের ভাষায় শাবানের মধ্য রজনী ১৪ই শাবান দিবাগত রাত কে আমাদের সমাজে বা পাকভারত মহাদেশে শবে বরাত বলে থাকে। হাদিসে কোনো শবে বরাত নেই, হাদিসে আছে লাইলাতুল নিসফ শাবান।
শবে বরাতের ফজিলত
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআ’লা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’
শবে বরাতের আমল
শবে বরাত উপলক্ষ্যে একটি মাত্র কাজ হতে পারে আর তা হলো ওই রাত উপলক্ষ্যে নিজেকে শিরক থেকে মুক্ত করা, বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে আমার বিশ্বাসে আমার কাজে কর্মে কোনো শিরক আছে কিনা এবং শিরক থেকে নিজেকে পরিষ্কার করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা।
শবে বরাতে রাতে আল্লাহ তায়ালার সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য তওবা করে নিজে পরিচ্ছন্ন করে নিবো।
শাবান মাসে রোজা রাখার কথা আছে কিন্তু শবে বরাত উপলক্ষ্যে এই দিনে রোজা রাখা বা কোনো ইবাদত করার কোনো সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়নি।
আমাদের দেশের প্রায় সকল মানুষ মনে করে শবে বরাত হলো ভাগ্য রজনীর রাত। কিন্তু এই বিষয়েও কোনো সহিহ হাদিস নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনের একটি আয়াতে বলেছেন, আমি একটি বরকতময় রাতে কোরআন নাজিল করেছি।
এবং অন্য আয়াতে বলেছেন, বরকতময় রাত হলো লাইলাতুল কদর, এই রাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং সব কিছুর ফয়সালা করা হয়ে থাকে। আমাদের ভাগ্য রজনীর রাত হলো লাইলাতুল কদর।
শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। তাই সবার উচিৎ শিরক থেকে নিজেকে মুক্ত করা, হিংসা, শুত্রুতা থেকে নিজেকে মুক্ত করা, অন্তরের সকল ক্ষোভ হিংসা মুছে ফেলে নিজেকে পরিষ্কার করা এবং সুন্নতকে আকরে ধরা। তওবা করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়া।