প্রযুক্তিবিজ্ঞান

উড়োজাহাজ দিয়ে দুবাইয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হয়!

মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে দুবাইয়ের অবস্থান। দুবাই সাধারণত সারাবছরই খুব শুষ্ক থাকে। বছরে এখানে গড়ে ১০০ মিলিমিটারের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়। তবে মাঝে মাঝে শহরটিতে ভারি বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাত পানির সংকট মোকাবিলা করার জন্য ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টির পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। গত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বব্যাপী পানির সংকট মোকাবিলায় এই কৌশলটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কৃত্রিম বৃষ্টি বা “ক্লাউড সিডিং” সম্পর্কে-

কৃত্রিম বৃষ্টি কি?

কৃত্রিম বৃষ্টি হল এমন একটি প্রযুক্তিগত পদ্ধতি, যা আকাশে বিদ্যমান মেঘগুলোকে আরও বৃষ্টি তৈরির জন্য প্রভাবিত করে।

কিভাবে কাজ করে?

উড়োজাহাজের মাধ্যমে ক্লাউড সিডিং করা যেতে পারে। এটির জন্য উড়োজাহাজ দিয়ে সিলভার আয়োডাইডের ছোট ছোট কণা মেঘের মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর খুব সহজেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারী বর্ষণ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও হারিকেনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রয়াসও বেশ ফলপ্রসূ। সম্প্রতি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান সরকার সে দেশের ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সফলতা দেখিয়েছে।

এছাড়া ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক শুরুর দিন বেইজিং এলাকায় ভারী বর্ষণের আবাস দেয় চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় অলিম্পিক এলাকায় মেঘ প্রবেশের আগেই ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে বৃষ্টি ঝরিয়েছিল চীন, যাতে পুরো আয়োজক কমিটির মধ্যে ফিরে এসেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস। ভারতও ইতিমধ্যে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ  পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি কোনটি?

শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করাই নয়, বরং বৃষ্টি বর্ষণের এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কোনো নির্দিষ্ট এলাকার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। বৃষ্টিহীন ও খরাপ্রবণ এলাকায় ফসল উত্পাদনেও এই প্রযুক্তি বেশ কার্যকর। 

সহজ ভাষায়

ইসলাম ও বিশ্বতথ্য জানুন সহজ, সাবলীল বাংলায়!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button