স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?

গর্ভধারণের প্রথম দিন মাস এবং শেষের তিন মাসে সহবাস করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এই আশংকা করে থাকেন। তবে এই ধারণাটি সঠিক নয়।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।

গর্ভাবস্থা যদি স্বাভাবিক হয় এবং কোনো স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য ডাক্তার আপনাকে সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ না দিয়ে থাকে তাহলে আপনি সহবাস করতে পারেন। কোনো বুঝিপূর্ণ থাকবে না এবং গর্ভের সন্তান ও আঘাত পাওয়া থেকে বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার হওয়ার পর অনেকেরেই সহবাসের ইচ্ছা কমে যায় এবং ইচ্ছার পরিবর্বতন হয়। তা নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলে সব ঠিক করে নিবেন। 

২০২৫ সালের রোজা শুরু কত তারিখে?

গর্ভাবস্থায় সহবাস কি গর্ভের বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে?

আপনার গর্ভাবস্থা যদি স্বাভাবিক এবং জটিলতা মুক্ত হয় তাহলে সহবাস করলে কোনো ক্ষতি হবে না। সহবাসের কারনে গর্ভপাত বা সময়ের আগে সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সহবাসের কারনে অনেক সময় জরায়ুতে মৃদু সংকোচন অনুভব করতে পারেন। এমনটা হলে জরায়ুর পেশীগুলো শক্ত হয়ে যাচ্ছে বা টান খাচ্ছে বলে মনে হবে।

এতে আপনার কিছুটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে, কিন্তু এটা সত্যিকার অর্থের প্রসব বেদনা নয়। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সহবাস ছাড়াও অন্যান্য কারনে বা সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়ায় এমন অনুভুতি হতে পারে মাঝে মাঝে। এটা কোনো চিন্তার বিষয় না এটি গর্ভাবস্থার একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

এমনটা হলে আপনি একটু বিশ্রাম করে নিতে পারেন বা অন্য কোনো বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করবেন। একটু পরেই দেখবেন নিজ থেকে ঠিক হয়ে যাবে।

গর্ভাবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিৎ?

গর্ভাবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে সহবাস থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়, যেমন—

  • যদি গর্ভাবস্থায় কোন কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভারী রক্তপাত হয়ে থাকে।
  • যদি গর্ভবতীর জরায়ুমুখে (সারভিক্সে) কোন দুর্বলতা বা জটিলতা থাকে।
  • যদি পূর্বের প্রেগন্যান্সিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হয়ে থাকে।
  • যদি প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল নিচে থাকা—ডাক্তারি ভাষায় একে ’প্লাসেন্টা প্রিভিয়া’ বলে।
  • যদি প্রসবের আগে পানি ভাঙ্গে।
  • যদি একই সময়ে দুই বা তার বেশি (জমজ) সন্তান ধারণ করে থাকেন।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম

যদিও অধিকাংশ দম্পতির জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ, তবে সবসময় এটি সহজ নাও হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় যদি সমস্যা হয় তাহলে আপনি পজিশন পরিবর্তন করে সহবাস করতে পারেন। যেভাবে আপনার স্ত্রী এবং আপনার সন্তান কোনো আঘাত না পায় সেভাবেই সহবাস করবেন।

যদি পুরুষাঙ্গ শরীরের বেশি গভীরে চলে যাওয়ার কারনে অনেক সময় অস্বিস্তর কারণ হতে পারে, তাই এই সমস্যা এড়াতে একদিক কাত হয়ে সহবাস করতে পারেন।

আপনার সঙ্গী যেভাবে সহবাস করলে অস্বস্তিবোধ করবে না ঠিক সেইভাবেই সহবাস করবেন। কিন্তু সহবাসের কারণে নানান যৌনিবাহিত রোগ ছড়ায় তাই কনডম ব্যবহার করবেন। তাতে আপনার সঙ্গী এবং বাচ্চা নিরাপদে থাকবে।

শেষ কথাঃ আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় সহবাসের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সহজ ভাষায়

ইসলাম ও বিশ্বতথ্য জানুন সহজ, সাবলীল বাংলায়!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।