রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ লিরিক্স
আজকের এই পোস্টে আমরা রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ ইসলামিক গানটির লিরিক্স আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গানটি লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে লিরিক্স
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,
লেখকঃ কাজী নজরুল ইসলাম
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ,
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে,
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী,
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ,
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা,
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গানের ইতিহাস
বাঙালি মুসলিমদের ঈদ উৎসবের একটি অপরিহার্য অংশ হলো “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটি।
এই গানটি রচনা করেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৩১ সালের ২৫ মে, এই গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয়। গানটির সুরকারও ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই।
এই গানটি রচনার পেছনে একটি গল্প আছে। আব্বাসউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। তিনি নজরুলের শিষ্যও ছিলেন। একদিন আব্বাসউদ্দীন নজরুলকে বলেন, “আপনি তো অনেক সুন্দর গান লিখেন। কিন্তু বাংলা ভাষায় ইসলামি গান খুব কম। আপনি যদি বাংলায় ইসলামি গান লিখেন, তাহলে মুসলিমদের ঘরে ঘরে আপনার জয়গান বাজবে।”
নজরুল আব্বাসউদ্দীনের কথা শুনে খুবই খুশি হলেন। তিনি আব্বাসউদ্দীনকে বললেন, “আমি তোমার আবদার রাখব। আমি ঈদুল ফিতরের জন্য একটি গান লিখব।”
আব্বাসউদ্দীন নজরুলের কথা শুনে খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি নজরুলের কাছ থেকে গানটি লিখতে অনুরোধ করলেন। নজরুল গানটি লিখতে শুরু করলেন।
তিনি গানটিতে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও খুশির কথা তুলে ধরলেন। তিনি গানটিতে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথাও উল্লেখ করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই নজরুল গানটি লিখে শেষ করলেন।
তিনি আব্বাসউদ্দীনকে গানটি শুনালেন। আব্বাসউদ্দীন গানটি শুনে খুবই মুগ্ধ হলেন। তিনি গানটি রেকর্ড করার জন্য প্রস্তুত হলেন।
১৯৩১ সালের ২৫ মে, এই গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয়। গানটি রেকর্ড করে হিজ মাস্টার্স কোম্পানি। গানটি রেকর্ড হওয়ার পর, মুহূর্তের মধ্যেই সারা বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গানটি বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
এই গানটি আজও বাঙালি মুসলিমদের কাছে ঈদুল ফিতরের একটি ঐতিহ্যবাহী গান। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের দিন এই গানটি শুনে মুসলিমরা তাদের আনন্দ-খুশি প্রকাশ করে।